মোহামেডান ৯ বছর পর আবাহনীকে হারাল

মোহামেডান.jpg

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) হাই ভোল্টেজ ম্যাচে দীর্ঘ ৯ বছর এবং ১১ ম্যাচ পর আবাহনীর বিপক্ষে ওয়ানডে সংস্করণে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আবাহনীকে ৩৯ রানে হারিয়ে দারুণভাবে শেষ করল তারা। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ৯টি করে জয়ের মাধ্যমে দুই দলের পয়েন্ট এখন সমান—১৮।

শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে মোহামেডান। শুরুটা ভাল না হলেও ইনিংসের হাল ধরেন ওপেনার আনিসুল হক ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ১২৩ রানের মূল্যবান জুটি। অঙ্কন ৫৫ বলে ৪৮ রান করে আউট হলেও, দারুণ এক ইনিংস উপহার দেন আনিসুল।

তিনি ১০৪ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১১৮ বলে ১৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম করেন ২০, মেহেদী হাসান মিরাজ ১৮ এবং মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ ১৭ রান। সব মিলিয়ে মোহামেডান ৪৮.২ ওভারে অলআউট হয়ে সংগ্রহ করে ২৬৪ রান।

আবাহনীর পক্ষে নাহিদ রানা নেন সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও রাকিবুল হাসান পান ২টি করে উইকেট। ১টি উইকেট দখল করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

২৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় আবাহনী। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও জিসান আলমের জুটি ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ভেঙে দেন মোহামেডানের মেহেদী হাসান মিরাজ। ইমন এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ইবাদতের অফস্টাম্পের বাইরের বল এক্সট্রা কভারে খেলার চেষ্টায় মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাত্র ১৬ রানে।

মোহাম্মদ মিঠুনও ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি। তাকেও বোল্ড করে দেন মিরাজ। এদিকে শান্ত একপ্রান্ত আগলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ৬৩ বলে। তবে সঙ্গ দিতে আসা মমিনুল হক ২৫ রান করে ফিরেন ইবাদতের বলে সাইফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

বল হাতে নজর কাড়া পারফরম্যান্স করলেও ব্যাট হাতে ১ রানেই থেমে যান মাহফুজুর রহমান রাব্বি। কিছুটা ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ইনিংস জমাতে চেয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, কিন্তু তাকেও ফিরিয়ে দেন ইবাদত।

শান্ত শেষ পর্যন্ত ১১৩ বল মোকাবিলা করে ৭টি চারসহ করেন ৮০ রান। তার আউটের সঙ্গে সঙ্গেই আবাহনীর জয়ের আশা পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৪৭.২ ওভারে ২২৫ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি।

মোহামেডানের হয়ে এবাদত হোসেন একাই তুলে নেন ৪টি উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেন ২টি করে উইকেট। বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে বড় জয় তুলে নেয় মোহামেডান।

এই জয় শুধু একটি ম্যাচ জেতা নয়, বরং দীর্ঘ ৯ বছর ও ১১ ম্যাচের হতাশা ঘোচানো। আবাহনীর বিপক্ষে ডিপিএলের ওয়ানডে সংস্করণে মোহামেডানের এই জয় আবারও প্রমাণ করে দুই ঐতিহ্যবাহী দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কতটা রোমাঞ্চকর।

তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ

Leave a Reply