ইসরাইয়েলকে পরাজিত করেই ঘরে ফেরার অঙ্গীকার ইয়েমেনের বিক্ষোভকারীদের

ইয়েমেন.jpg

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর চলমান গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে আজ (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পালিত হয়েছে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানান এবং ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানান।

এদিকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ এপ্রিল) হাজারো মানুষ রাজপথে নেমে আসে। তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানান।

একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “গাজার বাসিন্দাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশে আমরা রাস্তায় নেমেছি। বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই, যত যাই হোক আমরা পিছু হটবো না। ফিলিস্তিনিরা একা নয়, আমরা তাদের সে বার্তা দিতে চাই।”

আরেকজন বিক্ষোভকারী জানান, “যুক্তরাষ্ট্র যতই বোমা বর্ষণ করুক না কেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। জায়নবাদী এবং মার্কিনিদের পরাজিত না করে আমরা ঘরে ফিরবো না।”

ইয়েমেন ছাড়াও শুক্রবার বিক্ষোভ হয়েছে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, করাচি ও লাহোরে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা প্রতীকী লাশ বহন করে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তারা ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাকে মুক্ত করার দাবি তোলেন। পাকিস্তানজুড়ে এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান।

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার মিসরাতা শহরেও অনুষ্ঠিত হয়েছে ফিলিস্তিন সংহতি বিক্ষোভ। অংশগ্রহণকারীরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জায়নবাদী নীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেন।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ এখন তীব্রতর হচ্ছে। একদিকে ইয়েমেন, পাকিস্তান, লিবিয়ার মতো মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে জনগণ রাজপথে নেমে আসছে, অন্যদিকে বাংলাদেশেও গণআন্দোলনের মাধ্যমে সমর্থন জানানো হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের প্রতি। এসব বিক্ষোভ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিশ্বের মুসলমানরা আর চুপ করে থাকছে না—তারা সরব প্রতিবাদ করছে এবং গাজা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে।

তথ্যসূত্রঃ দৈনিক জনকণ্ঠ

Leave a Reply