নাটোর জেলা আদালতের মালখানা থেকে চুরি হওয়া বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, সোনা ও রুপার একটি বড় অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ এপ্রিল) নাটোর সার্কিট হাউস এলাকা থেকে এসব মালামাল উদ্ধার করা হয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নাটোর আদালতের পুলিশ কর্মকর্তারা অফিসে প্রবেশ করে দেখতে পান স্টোর রুমের তালা ভাঙা। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হলে নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে জানা যায়, চোরেরা জানালার গ্রিল কেটে এবং স্টোর রুমের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা পুলিশের হেফাজতে থাকা নগদ ৬১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, ১৬ ভরি সোনা এবং ১৯ কেজি রুপা চুরি করে পালিয়ে যায়। ঘটনার আগে চোরেরা আদালত ভবনের আশপাশের সিসিটিভি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ও ভিডিও রেকর্ডিংগুলো খুলে নিয়ে যায়।
চুরির ঘটনার পরপরই নাটোর জেলা পুলিশের একাধিক টিম মালামাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। পুলিশের হেফাজতে থাকা ছাব্বির নামের এক ব্যক্তির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ নাটোর সার্কিট হাউসের প্রাচীরের নিচে অভিযান চালায়।
অভিযানে উদ্ধার হয় ২৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, ১৬ ভরি সোনা এবং ১৯ কেজি রুপা। বর্তমানে উদ্ধারকৃত মালামাল গণনার কাজ চলছে এবং পুলিশের আরও একাধিক টিম বাকি চুরি হওয়া টাকা উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশের ধারণা, একটি পরিকল্পিত চক্র এই চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং আরও কিছু ব্যক্তি এই ঘটনার পেছনে থাকতে পারে।
এ ধরনের বড় ধরনের চুরির ঘটনা নাটোরে বিরল এবং এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আদালতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অনেকেই। তবে পুলিশ আশ্বস্ত করেছে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং সম্পূর্ণ মালামাল দ্রুত উদ্ধার করা হবে।
তথ্য সূত্র: কালের কণ্ঠ
